প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক মহীরূহের শেকড় চিরে চিরে,
একদা উঠে এসেছিলাম নৈঃশব্দের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে।


যাযাবরতার লোমশ শীর্ণ জ্যাকেট  পরিহিত প্রথমার যুগ,
সভ্যতার নিদারুণ বিচিত্রতায় নিশ্চিহ্ন সেই জন্মতলা আজ।


কঠিন ও নিরেট শেকড়ের আদি ইতিহাসে জন্মদাগ আছে ঠিকই,
কিন্তু ক্রমশই লোপ পেয়েছে আমার ঐতিহ্যের আদর যত্ন।


গাঢ় সবুজ বর্ণ অরণ্যে মরিচার খয়েরী প্রাদুর্ভাব,
আমলনামায় হুবুহু মিলে যাচ্ছে সভ্যতার সংক্রামক লক্ষণ।


এখন নষ্ট সময়ের ইতিহাসের দাম্ভিকতা বেঘুরো মাতলামি,
ভ্রষ্ট চিত্তের পসরায় প্রাঞ্জলহীন আজিকার রাত্রি সমস্ত।


শর্তহীন দ্বন্দ্বের জোচ্চুরিতে ভরপুর বাতাবরণ,
ধাবমান প্রশান্তির ফোয়ারা ঠেকেছে তলানিতে।


চৌচির জলতরঙ্গে তৃষ্ণার অমোঘ ভৎর্সনা দেখে দেখে,
কেটে যাচ্ছে আঁয়ু; নেই খুব যৌবণের প্রাচুর্যতা আর উপভোগ্যতা।


দগদগে জ্বলন্ত শিখায় মগ্ন আছে বনের নৈসর্গিক উপাদান,
বিকল সমুদ্রের অচল উর্মিতে জমে যাচ্ছে উত্তপ্ত কামনার তৃপ্তি যত।


অপেক্ষার বন্দরে জমে যাচ্ছে আরও আরও পাথরের স্তুপ,
সময়-কি হয়নি তবু বুকে ফেরার; পৃথিবীও অন্তিম সীমায় আজ।


প্রেয়সী,
অনিন্দ্য সুন্দরের নিখুঁত রূপ রসে তুমি দিপ্যমান হও,
সহস্র যুগের অন্ধকার চূর্ণে গড়ে তোল মিলনের তাজমহল।


কানে কানে বিক্রিয়া ঘটাও অনুপম,
অতঃপর বিস্ফোরণ হৃদয়ে হৃদয়; আত্মা আত্মায়।



রচনাকাল-
2015.Aug.04_01.20 রজনী।
এন্ডারসন রোড, কক্ִসবাজার।