হৃদয়ের সমাধিক পরিচিত স্থানে একটা ডাক আছে,
রাত্রির বিনিদ্র ওই ডাহুক পাখির নিকষ কালো ডাক।


দখীনার জানলা পেলে একদা নিবিষ্ট হতাম তোমার ডাকে ভীষণ,
বিবর্তনের পরিক্রমায় পাল্টেছে তা কিংবা পাল্টিয়েছো।


আজ বিহঙ্গ ও আমাতে নেই কোন ফারাক বিশেষ কিছুর,
শাস্ত্রীয় কায়দায় বলতে পারো খেচর আর মানুষ্যত্ব এটুক।


নক্ষত্র উড়ে এসে বসে যায় বিস্মৃতির পেখম গুটিয়ে,
আকাশ বিস্তৃত জিঘাংসায় লুটিয়ে পড়ে নক্ষত্রের গায়ে।


প্রভাতের তাগিদে রাত্রির ম্লান অনিবার্য দারুণ,
তবুও অনন্ত পতনে সমাহিত রয় নক্ষত্র ও আকাশ।


আর বিহঙ্গের বিরহি বিষাদের বিষণ্নতার সাথে বিদীর্ণ,
মানুষ্য এক মানবের মননের মন্দির মন্ডপের অর্চনা।



রচনাকাল-
2015.Aug.18_04.05 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।