তারপর এখানে আকাশ এসে থমকে যাবে দারুণ বিস্ময়ে,
রেখে যাবে ভীষণ অগণন অজস্র প্রেমাতুর নক্ষত্রপুঞ্জী।


আমাদের উভয়ের আলাপন হয়নি প্রায় তেত্রিশ সহস্র দিবা রাত্রি,
অতৃপ্ত চিত্তের সেসব অমুদ্রিত কথামালায় নীরদ-পূর্ণ সেই আকাশ।


হঠাৎ তুমুল প্রত্যাশিত এক ক্ষণে অবমুক্ত হবে হৃদয়ের অর্গল,
গলগল করে বর্ষণ হবে কামনার অঢেল প্রেমাক্ষরের সু-নিবিড় বাক্যগুচ্ছ।


বিস্তীর্ণ দিগন্তের বিস্তৃত শ্রাবণের সমীরণে গেয়ে উঠবে প্রকৃতি,
মহা মিলনে আচ্ছাদিত সুখ সমগ্রের রচিত যত মনোরঞ্জীত মহাকাব্যিক গীতাঞ্জলী।


তুমি আঁধার প্রেয়সী অভিজাত রাত্রির দেড়গোড়ায় অবিশ্রান্ত অবিরাম,
কড়া নেড়ে যাবে নিবিড় প্রেমের মোহময়ী অস্পর্শী অটুট সেই মননের দ্বার।


ঘোর আষাঢ়ের রিমঝিম বরষার করতলে জানলার ফ্রেম ছুঁয়ে অনন্য,
অবিরল অবিরত গলে গলে যাবে বহুল প্রতীক্ষিত দু'জনার সেই প্রপ্তিমালা।


অতঃপর থমকানো আকাশ উড়ে যাবে দুরন্ত উদ্বেলিত আনন্দে,
আর বিমুগ্ধ ইতিহাসের পরম্পরায় স্বাক্ষী হবে;
তারা খচিত আমাদের প্রেম শ্রাবণের এক রাত্রির জন্মগাঁথা।



রচনাকাল-
2015.Jun.09_12.20 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।