নক্ষত্র তুলে দিয়ে আমাদের নরম হাতে হাতে,
রপ্ত করে দিলো স্বমহিমায় আকাশ বিপ্লবের আচরণ।


বয়ে আসা  বিলুপ্ত সভ্যতার উঠোন হতে সুবাসিত বাতাসে,
মিশে আছে সুঘ্রাণ দারুণ প্রতিবাদী বারুদের।


রাজপথ একদা চেয়ে ডাকবে আমাদের অধীর চিত্ত মণিতে প্রাণান্ত,
বিস্ফোরিত ল্যাম্পোষ্টে গড়ে উঠা সদ্য যৌবণের দাগ এঁকে।


সমুদ্রের নৃত্যে জন্ম হওয়া শত কালো সম্রাজ্যে,
লাফিয়ে উঠছে স্বৈরাচারীর হিংস্রতার অনল শিখা।


পরাধীনতার আর্তনাদ জড়িয়ে যে আয়না ছড়িয়েছিলো শ্রীহীন প্রতিবিম্ব,
আঁধার ঘন ঐ প্রতিফলনের আত্মার গহিনে মুক্তির সুধা সমাগত।


দাবানল ভেজে ভেজে আমার কঠিনতম ইস্পাতে ছেকে নিচ্ছি বাহু,
মরিয়া শত পদাঙ্কের ভীড়ে আমিও একজন আগত সমরের অগ্রপথিক হতে।


এখন ভীষণতর নীল বিষে বিষাক্ত অধ্যায় চলমান,
প্রতীক্ষার অন্দরে আমাদের মহড়া ক্রমেই শুদ্ধ হচ্ছে।


যবে প্রকম্পিত রাজপথ ডেকে নেবে আমাদের তার বুক চিরে,
তখন সম্মুখে লড়াই হবে অশ্বারোহী হয়ে অগণিত তরবারিতে।


মৃত্যুরত প্রাণের হুঙ্কারে অনিবার্য হায়েনার বিচ্ছেদ,
হৃৎপিন্ড এফোঁড় ওফোঁড় বর্শার শিরোভাগে সত্যের পাণ্ডুলিপি সমুজ্জ্বল।


আমরা এখনো নম্র শামুক হয়ে গুটিয়ে আছি স্থির,
পরিক্রমায় সে দিবসের পালায় উঠে আসবো ঠিকই জাগ্রত অক্ষিতে।


মৃত্যু ক্ষুধায় বিভোর এই বহর উন্মুখ মৃত্যুপুরীর রক্তস্রোতে,
চিরঞ্জীব এই প্রত্যয়ের দৃঢ়তায় মিশে আছে মুক্তির পয়গাম।



রচনাকাল-
2015.Aug.25_01.40 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।