বিনিদ্র নিশির আঁধার চিরে আজ,
হয়নি ভূমিষ্ঠ কোন কবিতার।
চিত্তলয়ের অনাবদি প্রান্তরে শূণ্যতার বিলাপ,
শয়ে শয়ে দলছুট স্বপ্নেরা হয়ে আছে বেওয়ারীশ।


মৃত্যুর পঞ্জীকায় আগুনের নৃত্য তোলে একদা,
হয়েছিলো জন্ম মর্মর এক কবিতার বিচিত্র সুর।
যে সুরের লহরীতে রক্তাক্ত হৃদয়  জ্বেলছিলো শিখা,
শূণ্যতার নিদারুণ সব বিষাদের বসতি মাড়িয়ে।


আজিকার এই রাত্রির মিলনতটে ধরণী হেঁটে চলেছে খোঁজে,
আমৃত্যু কোন অগ্নি মুখরিত নৃত্য বীণার নুপুরের দিকে।
তৃষিত পৃথিবীর দেহভরা কঙ্কালসারে আজ কবিতা চাই,
চাই কবিতার বিমুর্ত শব্দের অবিনাশী লীলা।


হও অগ্রগামী যুবক তুমি দৃপ্ত শপথের বলিয়ান,
হৃৎপিন্ডের পালকে দাও ছেড়ে কর্ণ যুগলের ডানা; খোঁজে সেই পায়েলের ঝংকার।


যদি শুভ্র  কোন অপ্সরীর অক্ষিদ্বয়ে,
কবিতা ভূমিষ্ঠের স্নিগ্ধ আহ্ববান মাতাল করে।
তবে পৃথিবীর তরে এক টুকরো কবিতা এনো সুবিমল…


রচনাকাল-
2015.Oct.03_03.40 প্রত্যূষ।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।