তুমি না হয় কাব্য লিখো
তাতেই তোমায় বেশতো মানায়,
বৃষ্টি ঝরা আকাশ পানে,
আগুন ঝরা সন্ধ্যা বীণায়।


তুমি না হয় রূপসী হও
নীল আঁচল তলে মুখটি লুকাও,
লজ্জাবতীর ঘোমটা এঁকে
পৌরুষেরই শ্রাবণ নামাও।


তুমি না হয় কবিতা চাষো
অহর্নিশি শব্দে ডাঁশা,
প্রেম অরণ্যে পুষ্প ফোটাও
তবেই না হয় লেপ্টে দিবো ভালোবাসা


তুমি না হয় খোপায় বাঁধো
জুই চামেলি কিংবা বেলি,
সুঘ্রাণে মৌ গুঞ্জনে মন
উতাল পাতাল খামখেয়ালী


তুমি না হয় বিদ্রোহী হও
অনল ছুড়ো কলম ধরে,
নইলে পারো হৈমর অপু
চুপটি প্রেমে স্নিগ্ধ পরে


তুমি না হয় পার্বতী হও
টকটকে লাল শাড়ি প্যাঁচাও,
ক্লান্ত দুপুর হেলে দুলে
নগ্ন পায়ে কলসি কাঁকে আলতা রাঙাও।


আচ্ছা শোণো, তারচে বরং-
আমরা না হয় এক হয়ে যাই
এক আত্মাতে পরম্পরায়,
রবো মিশে যুগ শতকে
সব জীবনের জন্মে ধরায়।


তবে হোক তবে তাই-
দুজনাতে খুব আপোনায়
হৃদয়ে হৃদয়ে রেখে অপার,
ধ্রুপদী হবো দ্বিতয় প্রাণে
মৃত্যুহীনে দৃপ্ত থাকার।


রচনাকাল-
2015.Oct.07_12.05 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।