তুমি এখনো অনিশ্চিহ্ন বলে;  বেঁচে আছি আমি,
তপ্ত বেদনাচর সংগ্রামে; বীর বিক্রম।


তুমি জেগে আছো দিব্যি হৃদয়ে; আবাসস্থলে দারুণ,
মধ্যাহ্নের কঠোর প্রাঞ্জল;  দাউদাউ প্রতিবিম্বে।


ভুলে গেছো তুমি প্রতিচ্ছবি তোমার; রংধনু বিমল,
রাজপথে উদিত প্রভা তীব্র মশালে দাবী; তোমায় পাওয়ার মিছিল।


যত সুসময় মুছেছে হৃদয় তোমার; সুখচিহ্ন,
করেছে স্তব্ধ মনন তীব্রতর; স্পর্শের দ্বার।


এখানে যামিনীর নিকষতা প্রবল মুখরিত; ব্যথা ভরা উদ্যান,
শয়ে শয়ে অস্ফুট রশ্মির মিলন সম্ভার; মর্মর কাতরতা।


প্রিয় প্রতীক্ষা-
তুমি সত্যি আছো বেঁচে নীরবে; স্নিগ্ধ অতৃপ্তে,
বেঁচে আছো হয়ে অন্তিম কোন রণযোদ্ধার; রক্তাশ্রুর তলোয়ারে।


অপেক্ষার অন্তহীন শিরদাড়া চিরে উদিত; বিপ্লবীর অরুণ,
পূর্বাহ্নে দিগন্তে প্রজ্জ্বলিত সেসময়; ফেরার ক্ষণ হয়ে থেকো।


এবং অতঃপর…


প্রিয় প্রতীক্ষা-
আমার বিভ্রাট চোখ; দৃষ্টি বিরল,
তোমার রক্তক্ষয়ি ফাঁদ; না ফেরার দৃঢ়তা।


রচনাকাল-
2015.Aug.23_12.40 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।