আমাদের কোথাও যাওয়ার কথা ছিলো,
কথা ছিলো কোন শুভ্র ধরণীতে দ্বিতয় প্রাণ পরিব্রাজক হওয়ার।
আমাদের খুব নিকটে আসার কথা ছিলো,
কথা ছিলো চিত্ত প্রান্তরে সুশোভিত স্নিগ্ধতা সৃষ্টির।
আমাদের কথা ছিলো নিমিষেই বিরাত পাড়ি দেওয়ার,
পল্লোবিত প্রত্যাশার গণজোয়ারে প্রস্ফুটিত স্বপ্নের ঢেউ তোলার।
আমাদের কথা ছিলো সবটা নগরী থমকে দেওয়ার,
সুপ্তে পুষে রাখা আশার মহড়ায় নিশ্ছিদ্র প্রেমের গর্জনে।
কথা ছিলো আমাদের অপলক দৃষ্টি ছুঁয়ে জড়িয়ে থাকার,
অনন্ত এক দৃঢ় বন্ধনের অন্দরে স্বপ্নাতুর আবাস গড়ে তোলার।
কথা ছিলো আমাদের সহস্র বিষাদের তেপান্তর মাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার,
সন্ধ্যা বীণায় ডুবে যাওয়া হাহাকার মরু মৃত্তিকা জয় করার।
আচ্ছা রু,
আমাদের আরও আরও কত কথা ছিলো যা আজও অক্ষত,
পরিযায়ী সে গাঙচিলের চোখে স্মৃতির ফ্রেম হয়ে।
বিস্তীর্ণ সিন্ধু তটেও আঁকা আছে,
সেসব কথার বিমূর্ত ভাষ্কর্য।
যদি অবেলায় ঢুকরে উঠে কোন অতীত পুড়া প্রতিজ্ঞা,
তবে ছুঁয়ে দিও ঐ সিন্ধু যে স্পর্শে থেমে যাবে সাগরের কান্না।
অথচ অজস্র কথার পরেও আমরা ঠিকই ঢুকে গেছি,
খুব স্বার্থপর কোন পৃথিবীর মানচিত্রে।
তবুও ওসব না রাখা কথাগুলো থেকে যায়,
বুভুক্ষু নিদারুণ কিছু কিছু রাত্রির নীল পাঁজরে।
রচনাকাল-
2015.Oct.25_23.40 রাত্রি।
লাইট হাউজ, কলাতলী, কক্ִসবাজার।