ভেবেই বিভোর ক্লান্ত পরিশ্রান্ত; আর নেই আকস্মিক চাওয়ার স্পৃহা,
মুছে গেছে সেসব সাক্ষ্যের প্রৌঢ় বৃক্ষ; ছলনার নিকষ গর্ভে।


সভ্যতার তামাটে আদিমতা শোঁকে শোঁকে; এখনো বিপর্যস্ত এই নর,
ধরণীর তামাম সংসার তন্ন তন্ন খুঁজেও মিলেনি; সুসময়ের যতিচিহ্ন।


এখনো জমাট নীরদের মৌরালায় প্রেরিত হয় ডাকপত্র; ব্যাকুল স্পর্শের তরে,
এখনো রাত্রি দুপুর বিশ্ব পরম্পরায় দামামা বাজে; রুদ্ধহীন সংকল্পের জোয়ারে।


এখানে খুব করে শ্রবণ করো দ্বিকর্ণে দারুণ; হাহাকার বিস্মৃতি,
এখানে হৃদয়ের তরী ভীড়াও খুব আপোনায় নিদারুণ; প্রতীক্ষা সমীপে।


এখানে সন্দিহান দু'চোখে ভরা বিবর্ণতায়; চেয়ে দ্যাখো বিষণ্নতা,
এখানে তীব্রতর আর্তনাদের ক্রন্দিত আসরে; ছুঁয়ে যাও ব্যাকুলতায়।


যদি ফের অশ্বরোহীর ক্ষুরছাপ এঁকে; নামাতে পারি উদাস বিকেল,
তবে মরুমৃত্তিকায় রচিত হবে প্রেম অভিলাষ; হৃদয় বিলাস।


যদি ফের আনতে পারি গোধূলির রঙছটা রোদ্দুর; মোহনীয় বসন্ত,
তবে আকাশের ঔদাসীন্যের অন্দরে জ্বালাবো সেই শিখা; প্রেমের বারুদ।


অতঃপর সভ্যতার করোটিতে উপবিষ্ট হও শুভ্রতায়; নবজন্মে নিঁখুত,
ভূমিষ্ঠ করো যাবতীয় বিলুপ্ত সুসময়; বিপর্যস্ত মননে।


এবং উপসংহারে ক্ষয়িত স্পৃহার পরতে পরতে সওয়ারী হও; দাপিয়ে বেড়াও,
মৃত বৃক্ষাদীর তৃষিত শাখায় প্রশাখায় ছড়াও; কামনার সবুজ সুবিমল কোমলতা।


রচনাকাল-
2015.Oct.12_03.10 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।