আমি প্রাণান্ত এক আকাশ চেয়েছিলাম নিদারুণ,
কিন্তু কেউ একজনা তা চাদর করে মুড়িয়ে নিদ্রামগ্ন হলো।


আমি এক বিস্তীর্ণ জ্যোৎস্নার নীলাভ খোলা প্রান্তর চেয়েছিলাম,
কিন্তু কেউ একজনা তা বীরাঙ্গনার বেশে মাড়িয়ে গেলো নিষ্ঠুর।


আমি রাত্রির এক সুবিশাল নরম আলোর ভান্ডার চেয়েছিলাম খুব,
কিন্তু কেউ একজনা তা অযত্নে অবজ্ঞায় ছুড়ে ফেললো নিকষ কলঙ্কে।


আমি রজনীর শেষ প্রভার বিন্দু অবধি স্নিগ্ধ হতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু কেউ একজনা যামিনীর প্রারম্ভেই বিলুপ্ত করে নিলো নিসর্গের যত আয়োজন।


অতঃপর—
সুবহে সাদিকের প্রাক্কালে যখন মিশে যাবো নিশ্চিহ্নতায় আমি,
তখন সে একজনা জানি বিভোর হবে অন্তহীন এক অনুসন্ধানের তাড়নায়।


তারপর—
ওখানে আর কখনোই অতৃপ্ত কোন চোখের পাতায়,
নেমে আসবেনা শয় শয় জ্যোৎস্না প্রিয় প্রত্যাশার বহর।


এবং—
চূড়ান্ত উপসংহারে শায়িত হবে একটি জীবন,
যে জীবনের অন্দরে মুদ্রিত ছিলো;
একটি জ্যোৎস্না প্লাবন নীল আকাশের ব্যাকুলতা।


রচনাকাল-
2015.Oct.28_02.30 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।