তোমার সুশোভিত কন্ঠধ্বনি থেকেই ভেসে আসছে,
আমার সহস্র রাত্রির পৃষ্ঠাবন্দী কলমের শব্দলিপি।


পৃথিবীর মানচিত্র এঁকে আমরা দূরত্ব নির্ণয় করছি,
আর বেতারের অদৃশ্য সংকেতপুঞ্জীতে মাপছি তার পরিমাপ।


জেনেছি বহু শতাব্দী আগেও তুমি ধাবমান ছিলে,
আমার চেতনায় স্থির হওয়া আত্মা নামের এই কম্পাস পানে।


যার মুহ্যমান সাক্ষি হয়ে অবিরত ঠিকরে বেরোচ্ছে,
তোমার কন্ঠকথার শুভ্র সুরের স্নিগ্ধ বিকিরণগুচ্ছ।


একসময় সে প্রখরিত প্রভায় উভয়ে হাপিয়ে উঠছিলাম একান্ত,
আর বিমোহিত প্রত্যাশার গণজোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছিলাম ক্রমশই।


তখনো রাত্রির গায়ে সন্ধ্যার প্রচ্ছন্ন বীণার রাগিণী,
যার তরঙ্গে আলাপনসমষ্টি হচ্ছিলো উদ্ভাসিত কৃষ্ণচূড়া।


কখনো কখনো তোমার পল্লোবিত হাসির কলতান আর,
মুখরিত বাক্যবিলাসের সুমিষ্টতায় পুলকিত প্রান্তর।


যেসব আমার নেত্রপাড়ে ফুটিয়ে তুলছিলো অগণন অজস্র,
বিস্ময়ভরা উদ্যানে জোনাকির ঝিলমিল আলোখেলা।


এ চিত্র যেতে যেতে দেখে গেছে রাত্রির নীড়ে ফেরা বাজ,
সাথে তীক্ষ্ণ কনীনিকায় স্বরচিত করেছে আমাদের কথামালাও।


এভাবেই ধরণীর পৃষ্ঠতলে আমাদের আলাপন জন্মেছিলো একদা,
নিবিড় এক মুগ্ধতায় যে আলাপন মিশেছিলো দ্বিতয়ের প্রাণে প্রাণে।


রচনাকাল-
2015.Nov.03_11.30 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।