তুমি পিশাচীনি নিকষ,
বিষাদের নিটোল মানবী।
হিংস্র আততায়ী নিবিড়,
গুপ্ত বিরহের সম্ভ্রান্ত সম্ভার।


হয়েছে শুষ্ক করুণ অস্পর্শে দারুণ,
শীর্ণজীর্ণ মননের মর্মর মোহনাকুল।
রেখেছি বেদনার নীলচে দাবানলে,
উন্মুক্ত হৃদয়ের প্রান্তর।


এবার শিকারীর চোখে ট্রিগারে আঙুল রেখে ছুড়ে দাও,
একে একে তেত্রিশ হাজার বুলেটের রাজকীয় হুঙ্কারের বিচূর্ণ গর্জন।


অতঃপর উপসংহার স্বযত্নে সাজিয়ে নাও দুরন্ত আল্পনায়,
যে আল্পনার পরতে পরতে মিশে রবে সহস্র বুলেটের শেষকৃত্য।


লালাভ রূধির ফিনকিতে যদি আঁকতে পারো নিজের ভাষ্কর্য; বলো তবে ক্ষতি কি তাতে,
না হয় মিশেই গেলাম কোন আততায়ীর মৃত্যুর সফল অস্ত্র বারুদে।


রচনাকাল-
2015.Oct.21_12.20 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।