মুক্ত আন্তরীক্ষ চিরে শয়ে শয়ে আসছে ধেয়ে,
রক্তের ফিনকিতে তৃষিত নব্য শকুন বহর হয়ে।


তীক্ষ্ণ ঠোঁটের খাঁজে নৃত্যরত হিংস্র দেবী,
আর ধারবিষ নখরের আচড়ে জ্বলন্ত পিশাচের ছবি।


বিষম আর্তনাদের কম্পনে বিদীর্ণ সার্বভৌমত্ব নিদারুণ,
সবুজের ক্যানভাসে লালাভ গালিচায় নৃশংস আঘাতের খুন।


আক্রোশী কাল সর্পের ফনায় মাতাল ছোবলের দগ্ধতা,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিলীন ভূ-খন্ডের নৈসর্গিক জড়তা।


স্বেচ্ছাচারীর তুমুল প্রসাধনীতে ক্ষত-বিক্ষত জননী,
মৃত্যু মৃত্যু খেলার দর্পনে জ্বলসানো কণনী।


রাইফেলসের ট্রিগারে চেপে আছে একাত্তরের টুঁটি,
নির্বাক জননীর কোমল গর্দানে স্বৈরাচারের গুটি।


রাষ্ট্রের বিরান তেপান্তরে শুনি জীবনের বিলুপ্তির বিনাশ,
স্বাধীনতার দেহে দেখি হানাদারের পুনরাবৃত্তির বাস।



রচনাকাল-
2015.Dec.16_10.20 সকাল।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।