হে নৈঃশব্দ,
শীতার্ত বিরাতের পেখমে তুমি পৌষের মহা পৌরুষ,
হিমাদ্রে জমে উঠা প্রত্যেক ফোঁটায় তোমার অস্তিত্ব।


হে নৈঃশব্দ,
বহমান প্রত্যাশার ভরপুর নেত্রদ্বারে তুমি স্থির,
অম্লান ক্লেশের ঘনিভূত পুঞ্জে তোমার গর্জন।


হে নৈঃশব্দ,
সুনশান ব্যথার মর্মর পাঁজরে নির্বাক জেগে উঠো তুমি,
বিস্মৃতির করোটিতে বেজে তোলো তোমার নিশ্ছিদ্র বারতা।


নৈঃশব্দ তুমি,
পুষে রাখো নির্বিবাদ মহাকালের বিবর্ণ উপাদান,
গড়ে আনো ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিলীন হওয়া প্রণয়ের ভাষ্কর।


নৈঃশব্দ তুমি,
তোমার অন্তরায় শুভ্রতার স্পন্দন স্থবির,
তোমাতেই অবিনাশী নৃত্যরত বিষাদের রাজমহল।


গভীর রাত্রির অতলে প্রচ্ছন্নতায়,
তুমিই হেঁটে চলো নৈঃশব্দ হয়ে।


সহস্র অতৃপ্ত বাসনার তান্ডবের ধ্বংসস্তুপে,
তুমি ফের ফিরে আসো নৈঃশব্দের নিদারুণ রমণী হয়ে।


হে নৈঃশব্দ,
তুমি নিঃশব্দে নিস্তব্ধ হয়ে রও,
চুপচাপ বিষাদ ছেপে নিদ্রা হয়ে উঠো রজনীর বুকে; পথিকের চোখে।


রচনাকাল-
2015.Dec.19_01.20 রজনী।
অপরাজিতা, বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।