সিন্ধুবতী,
আমার জানা ছিলোনা ও-রাত্রির পরে আরও রাত্রি আসবে,
অপূর্ণ হৃৎপিন্ডে শূণ্যতার বলয়ে বেঘুরো রাত্রি নামবে।


হিমপ্রবণ নেত্রের কাঁপা পর্ণ ছুঁয়ে,
অবুঝ প্রান্তরের উপকণ্ঠে ঝরে যাবে অঝোর শিশির।


ধূমিকার নির্বাক আস্তরণ কেটে কেটে অবিশ্রাম,
ক্লান্তশ্রান্তে খসে পড়বে গুচ্ছ নক্ষত্রের ঢালি।


সিন্ধুবতী,
জানতামনা সমুদ্রের নোনায় শীতার্ত হবে লহরী,
অবমুক্ত গাঙচিলের ডানায় জুড়ে বসবে পৌষ।


বিমূর্ত সন্ধ্যার গায়ে গায়ে ফুটে উঠবে আগুন,
নিঝুম বিরাতের জন্মদানে অট্টকান্নায় ভাঙবে গগণ।


মানুষে মানুষে গড়ে উঠবে নিকষ পাথরের রূঢ়তা,
সভ্যতার দীর্ঘ অনালাপে নিশ্চিহ্ন হবে সময়ের ব্যাপ্তিকাল।


সিন্ধুবতী,
জানা ছিলোনা আমার অজস্র রূধিরাবৃত লালাভ কবিতার পরেও,
মহাকাল চূর্ণে আসা শব্দাক্ষর গড়ে তুলবে আরও আরও সহস্র কবিতা।


তবুও ঠাঁই বিদীর্ণতায় আমি ইতিহাসে হয়ে আজও,
এসো তুমি সু-পঠিত কোন পাণ্ডুলিপি হয়ে সিন্ধুবতী।


রচনাকাল-
2015.Dec.23_02.00 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।