অতটা দূরে নয় প্রিয়তমা,
গিলে খাবে তোমায় রাতের আঁধার।
জড়াও নিকটে খুব আপোনায়,
হদয়ে হৃদয়ে আকড়ে ধরে ভাংয়ো নৈঃশব্দ।


অতটা বিবর্ণে হয়োনা সাদাকালো প্রিয়তমা,
বর্ণবাদী বলে রব ফেলবে ধূসর তোমায়।
বর্ণীল করে তুলো প্রণয়ের তীব্র রঙে রাত্রির জ্যোৎস্না,
রেখে চোখে চোখে অনিঃশেষ দাও বুঝিয়ে উষ্ণতা।


অতটা নিকষ প্রতিমায় অভিষিক্ত নয় প্রিয়তমা,
হবে তবে নিশ্চিহ্ন বিমূর্ত সন্ধ্যার আলাপনে।
উঠো জ্বলে সোডিয়াম হয়ে প্রাঞ্জল শহরের বর্ণচ্ছটায়,
ছড়াও শুভ্রতা উন্মুখ জানালার কার্ণীশে কার্ণীশে।


গড়ো ঐকতান রজনীর বেঘুরো অন্দর মহলে,
আলিঙ্গণে মেতে তুলো পূর্ণ প্রেমের বারতা।
বিস্ময় উল্লাসে মুখরিত করে আনো নগরীর উপাখ্যান।
প্রাপ্যের উন্মত্ততায় হয়ে যাও অপরূপা রূপসী।


অসমাপ্ত শত সহস্র বিরাতের বহরে,
লাগিয়ে দাও বিনোদনের তকমা।
অকুল প্রত্যাশার তুমুল কামনায়,
ছুঁয়ে দাও পুষে রাখা সুপ্ত স্পর্শের অনুভব।



রচনাকাল-
2015.Dec.25_01.40 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।