তারপর অনন্ত অনালাপে ঢাকবে উৎসুক উন্মুখ জানালা,
ধূমিকার নিরেট বিচরণে ক্ষয়ে যাবে রাত্রির কোলাহল।


বিনিদ্র ডাহুকের নীরবতায় বাড়বে উভয়ের দূরত্ব,
নিঃসঙ্গ আকাশের মতন দীর্ঘশ্বাসে পুড়ে যাবে স্বপ্নদল।


আদিগন্তে শয় শয় নিবৃত তেপান্তরে প্রত্যাশার বিদ্রোহে,
মৃত্যুমুখি হয়ে উঠবে অনাগত কামনার অঙ্কুর।


হ্যাঁ মৃন্ময়ী,
প্রকট শীতে ঝরাপাতার ঝাউবনের নিশ্চুপে মিশে,
তোমার-আমার অনালাপে কেটে যাবে অনেক, অনে-একটা সময়।


অতঃপর,
এখানে গড়ে উঠবে নব সংলাপ; একত্রিত ক্ষণের সমষ্টির সংজ্ঞা,
সোডিয়াম প্রভায় থাকবে শত সহস্র সুখচিহ্ন; উভয়ের ফ্রেমবন্দী স্মৃতি।


সভ্যতার সবুজ সমীরণে সংরক্ষিত হবে প্রথমার চিত্রাংশ,
বিচ্ছেদহীন জড়ানোর চলচ্চিত্রে জন্ম নিবে ইতিহাস।


হুমমম একদা কালের পরিক্রমায় সবই থাকবে,
থাকবোনা তুমি-আমি আর এই নির্জন রাত্রির নিস্তব্ধ পসরা।


রচনাকাল-
2015.Dec.29_02.10 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।