তোমাকে বেঁধে রাখতেই ছুটে আসে দলে দলে,
শয় শয় ঘৃণার নিকষ নীরবতা আর অবোধগম্যের পাহাড়।
রক্তাক্ত প্রভাতের আঙিনায় ফুঁটে যায় কৃষ্ণচূড়া,
নৈঃশব্দের ক্রন্দনে বিভোর প্রতীচী জানালার আকাশ।
রাত্রির জীবন্ত ফ্রেমে উন্মেষ জাগ্রত প্রত্যাশা,
পেলব আঁধারে মিশে যাচ্ছে নির্জনতার পরাগ।
বিগত স্মৃতিবিন্যস হতে ঠিকরে বেরোচ্ছে সুখক্ষণ,
যেসব স্বেচ্ছায় খুঁজে নিচ্ছে বিস্মৃতির বনবাস।
অক্ষমতার তুমুল ভ্রমে মত্ত চেতনার অভিপ্রায়
নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ চলন্তিকা মহাকাল।
বিষাদের স্তননে কম্পিত ঠিক এই নক্তের অণ্বেষনে ছিলাম অনন্ত,
যে নক্তের মধ্যাহ্নে বিসর্জন দেবো সর্বস্ব প্রেমের অনুরাগ।


অতঃপর,
ঘৃণার নীরবতা আর অবোধগম্যের পাহাড়ে জ্বালাবো,
অতীত মোড়ানো সব'টা ভালোবাসার  সৎকারের অগ্নিকুণ্ড।
যে অগ্নিকুণ্ডের শিখার মধ্য দিয়ে উঠে আসবে,
আমার পরিশুদ্ধতার শোধন প্রক্রিয়ার নির্মলতা।
সেই পরিশুদ্ধতার ভিতরে আনুপম লালিত আছে,
তোমায় জড়িয়ে না রাখার আদর্শিক সংজ্ঞা।


রচনাকাল-
2016.Jan.02_12.50 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।