আমরা বিগলিত হৃদয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই,
একদিন হয়ে উঠি সন্তর্পনে ঝরা বৃষ্টির শান্ত বিন্দুফোঁটা।
আমাদের বুকে চোখে বহুল প্রতীক্ষিত বৃষ্টির রেশ।


সুশান্ত বাদলের ঝুমঝুম শব্দের পরে আমরা আগাগোড়া মোড়া ছিলাম,
মাত্র একমুঠো নিশ্ছিদ্র দূরত্বের পিশাচী ইন্দ্রজালে।


আমরা না পারছি উঠে দাঁড়াতে,
না পারছি একে অন্যকে ছোঁতে।
আমাদের তীব্র স্পর্শের ব্যাকুল মোহের অবিরাম উত্তাপে,
খোদ নিশ্চিহ্ন হচ্ছিলাম উভয়ই অভয়ে ক্রমশই; অস্তিত্বহীন!


অতঃপর চূড়ান্তের ক্ষণে ক্ষণে ক্ষয়ে উপনীত হয়ে,
দু'জনই বীলিনের পথিক হয়ে মৃত্যুর মুসাফির।


উদ্বাস্ত তুমি, আমি, আমাদের হাত-পা, বুক-চিবুক, সর্বাঙ্গ, সর্বস্ব।
অথচ পরিশেষে সব যেতে যেতে বেঁচে রয় কেবল,
আমাদের বন্ধনের অদৃশ্য সেতুর দু'জোড়া চোখ।
নিরংকুশ চাওয়ার নির্বিবাদ চাহনীর তোপে অবিনাশী হয়ে বেঁচে যায় সে চৌ'নয়ন।


শুনেছি পৃথিবী নামের কোন আদি জন্মস্থানে,
আমাদের সে স্ব-স্ব নয়ন জোড়া আজও ঘুরে ফেরে বিস্ময়।
জেনেছি পৃথিবীবাসী আমার নয়ন জোড়াকে সূর্য,
আর তোমার দু'নয়নাকে ডাকে চন্দ্র বলে।


দ্যাখো কি অদ্ভুত বিরলতা সেথায় তোমাতে-আমাতে,
সেই একমুঠো দূরত্ব আজও অবিচল দু'জনার প্রান্তে।
যে দূরত্বের পরিমাপ দিবা আর রাত্রি বলে পরিচিত।


রচনাকাল-
2016.Jan.10_02.10 রজনী।
পূর্ব রাজারকুল, রামু, কক্ִসবাজার।