বিমুর্ত চিত্ত স্তব্ধ গগণে থমকে হারায়,
মৃত্তিকায় বিদীর্ণ হয় জলের ফোয়ারা টুপটাপ।
বিষণ্নতায় বিষম ক্লান্তিকর মননে বিচ্ছেদের যাতনা,
কবে যেন মরু পর্বত চষে ভেঙ্গেছিলো সুখ যাত্রা।
হয়নি আলাপন মোদের সুদীর্ঘ মহাকাল অবধি,
ভুলে গেছে শতাব্দির বর্ণীল ক্ষণ সুসময়ের যতিচিহ্ন।
আঁধারের বিমুগ্ধ দহনে পুড়েছে সমৃদ্ধ প্রত্যাশা,
অনিরুদ্ধ নীল কিরণের বিষক্রিয়ায় ভষ্ম স্বপ্নাতুর নেত্রদ্বয়।
উদয়ের পথে অম্লান বিভীষিকার পাশবিক আয়োজন,
যে শুধু দিয়ে যায় জং ধরা প্রলেপের বিক্ষত আঘাত।
বিভ্রাট মণিতে উঠে আসে বিপর্যস্ত জীবনের আত্মগীত,
নিকষ সে গীত সম্ভারের সুরে বেজে উঠে ক্রন্দিত ইতিহাস।
আজ হৃদয়ের আনাচে কানাচে উত্তাল মিছিলের শ্লোগান,
মুখরিত ঝংকারে কম্পিত যেথায় স্মৃতি বিস্মৃতির রাজপথ।
অমোঘ বিষাদের লালাভ প্রান্তরে আজ মৃত্যু মৃত্যু খেলা,
যে খেলার অন্দরে ডুবে আছে বিরহের করোটি।
নক্তঘন তমসার পল্লবের শীর্ণ বিকল সোডিয়ামে,
চলমান হয়ে মিশে যাচ্ছে এসব দগ্ধিত কলমের লাইন।
আর ম্রিয়মান হয়ে অঝোরে ছুটে আসে প্রভাত ভোর,
যেনো ধরণীর অতল তলে চাপা পরে যাবে এখনি অবিনাশী সহস্র কামনা।
অতঃপর অতৃপ্ত এক প্রাণ হয়ে যাবে,
অথর্ব পাথরের সুদৃঢ় ছায়ামুর্তি।
রচনাকাল-
2015.Feb.11_02.10 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।