তারপর পৃথিবী হেঁটে গ্যাছে,
কোন বিমর্ষ স্ক্রীপ্টের ভিতর।
ধাবিত রাত্রির আঁধারকুঞ্জ,
পাকিয়েছে বিষাক্ত ফণার কুণ্ডলি।


দূরারোগ্য এক জখমের উপর দিয়ে,
নেমে চলে সরিসৃপের মত অনাগত দিবা।
প্রতীক্ষমান সন্ধ্যা শত মিশে যায়,
বিষাদের দোদুল্যমান ইথারের লহরীতে।


অতঃপর পৃথিবী তলিয়ে যায় নিদারুণ,
রূধিরাঞ্জীত সভ্যতার নগ্নপৃষ্ঠে।
অসীম এক আর্তনাদের স্রোত ভেলায়,
আশ্রীতা হয় তার বয়সের ভার।


গুপ্ত ঘাতকের অবয়বে চিত্রিত হয় বিকেল,
পিশাচীর সুতীক্ষ্ন নখরে জেগে উঠে দুপুর।
ছদ্মবেশী মুখোশে উড়ে আসে ভোর,
ক্ষত বিক্ষতে এফোঁড় ওফোঁড় করে অনলের প্রভাত।


এবং পৃথিবী নিশ্চুপে ক্ষয়ে যায়,
নিষ্প্রাণ এক বিবর্ণ চক্রে অস্তিত্বহীন।
চূড়ান্ত বিলীনে সহসায় ভূমিষ্ঠ হয়,
মানুষ্য পিন্ডের এক ভ্যাম্পায়ার।


যে ভ্যাম্পায়ার আজও খামছে ধরে আছে,
সেই শীর্ণ পৃথিবীর গলিত বুকের হৃৎপিন্ড।


রচনাকাল-
2016.Feb.19_02.05 রজনী।
বন বিভাগ বাংলো, উখিয়া, কক্ִসবাজার।