অদ্ভুত চোখ জুড়ানো অথচ সীমাহীন যন্ত্রণার এক মোহে কাতর আমি।
আমার ভূমিষ্ঠে চোখ বলে কিছু ছিলোনা;
ছিলো ধূসর মেঘমঞ্জিলের করুণ অর্কেষ্ট্রা।
পাথর না ছুঁই কখনো, তবুও বিষাদের গোগ্রাসে হয়ে উঠছি অ্যালবাট্রস।
নিকষ রাত্রির বাহুডোরে আর্তনাদের তুর্যনাদে তূণীর ধরণী।
এ ক্যামন হাহাকারের প্রবল প্রলয় প্রশ্নে, বিস্ময়ে মুষড়ে পড়ে ইতিহাস।
যে বিস্ময় অর্কেষ্ট্রায় মেখে নিয়ে, পুনরুত্থান করি স্বীয় চোখ।
চোখ খুলেই বুঝতে পারি বিষম, আমার আরো আরো দূরে হাঁটার কথা ছিলো।
নিবৃত্তে বয়ে চলা নুনতা হাওয়ার উপকুলে, আমার বসতি করার কথা ছিলো।
আরো কথা ছিলো, পোষা বেদনার জল কমলে অধিপত্য করা একচ্ছত্রে।
তারপর কোন রজনীর বেওয়ারীশ আঁধারে, প্রৌঢ় অর্কেষ্ট্রার ডানায় ফিরে যাওয়ার; জলশূণ্য হৃদয়ে।


রচনাকাল-
অ্যালবাট্রস রিসোর্ট, কলাতলী, কক্ִসবাজার।
2016.Feb.29_11.50 রাত্রি।