শামুকের খোলস খুলে
মুক্তায় হাত বাড়াতেই
হকচকিয়ে মেলে উঠলো
নিকষ রাত্রির নীরবতা


নিবৃত চরণে সন্তর্পনে
ফিরেফিরে বেরোয় ফের
অন্তিম বিদায়ও নেই
আছে পুনরাবৃত্তির হাতছানি


এ'রাত বলে গেছে ধ্রুব
ওখানটায় যাওয়ার বারণ
না পোহাতে মুক্তার আলিঙ্গন
না ছুঁতে ভীষণ ও'খোলস দ্বার


ক্রমশই এ'ক্যামন দ্বিধা
ব্যাথাতুর জ্যান্ত উপাখ্যান
এ'ক্যামন নিঠুর নিস্তব্ধতা
মৃত্যুর বীভৎস উন্নাসিকতা


থুবড়ে পড়ি আড়ালে অগোচরে
দ্বন্দ্বের অবেলার চিলেকোঠায়
যেসব ক্ষণের রঙ রক্তবর্ণ
ওসব লগ্নই খুবলে খায় আত্মা


তবে অন্তিমে দারুণ
হৃদয়ের কপাট খুলেই
মেলে দিবো অনুভূতি যত
বিষাক্রান্ত আকাশ পানে


অতঃপর সমন্বয়ে মিশবো
নিশ্চিহ্নের অসীম প্রান্তরে
দূর্লভ রাত্রিসব পাবেনা ধরতে
পাবেনা সেই হাত সেই এক নতমুখ


রচনাকাল-
2015.Mar.10_03.00 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।