অতন্দ্রীলা,
চোখের পরে দু'জোড়া চোখ ভাঁজ করে,
তপ্ত বিনিদ্রে রাত্রি মাড়ানো অভিযাত্রা।


এ ক্যমন বিদ্রোহের করতলে এসে মিশি দুজন, বলোতো-
অথচ শোকার্ত দৃষ্টির বিরহ তুমি চাইলেই দিতে পারতে পুষিয়ে।


কি অদ্ভুত
আহত গাঙচিলের মত আচমকা ডুবে গেলে নৈঃশব্দে,
পক্ষান্তরে তোমার ফেলে যাওয়া আধো রাত্রি;
যায় যায় করেও থমকে আছে আজও,
আমার না পাওয়ার করোটির অস্থিমজ্জায়।


এ বিষম পীড়ার যেন নির্বাক ক্রন্দনের কোরাস,
এ রাত্রির আগাগোড়া যেন দুঃসহ বিস্মৃতির গেরদান।


রজনীর পথে সোনালী ডানায় ফিরে এসো অতন্দ্রীলা,
এ রাত্রির শেষ রেখা অবধি সংরক্ষিত করে যাবো; ওই পথ।


এ অবদমিত শীতল চোখের বাহুডোরে,
জুড়িয়ে দাও মীমাংসার প্রলেপ; অক্ষত মিলন।


বীভৎস অভিযাত্রায় গড়ে তুলো সুখের তাবু,
বিদ্রোহের দাবানলে মুড়ে দাও শর্তহীন সন্ধির অবিচ্ছেদ্যতা।


রচনাকাল-
2016.Mar.15_03.30 ভোর।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।