প্রিয় শঙ্খচিল,
রাত্তির বাহুডোরে পেতে আছে মাদুর; শীতলপাটি,
রাজহংসীর সম্রাজ্ঞী হয়ে খুলো বাঁধন ডানার।


বর্ণীল প্রচ্ছদে মুড়ে স্বসত্তা মাতাও আসর; প্রাঞ্জল কোরাসে,
স্পর্শের তামাকে দাও গড়ে কলরব তুমুল।


এ রাত্তির পরে যবে আসবেনা ফের রাত্তির তরঙ্গ; আবহ রেশ,
তবে জেনে রেখো ঢের, ও'আয়োজন মুছে হবে নিশ্চিহ্ন।


এ'নিমন্ত্রণ ভ্রষ্টের পথে মিলিয়ে হয়ে উঠবে ক্রোধ; বিষাদ,
শুধু মনে রেখো খুব, এ'আহ্বান চুষেই জ্যান্ত হবে আততায়ী ভোর।


ও'ভোর চাইনিতো কভু, যে পুষে রাখে মৃত্যুর পরাগ রেণু,
চাইনিতো কোন নিকষ মুকুলের তিক্ত ঘ্রাণ; বিচ্ছেদী পরোয়ানা।


অথচ,
তোমা'চোখে আজ রাত্রির তারা; স্নিগ্ধ সুভিত ভোর,
পিরামিড রূপে স্থায়ি সব, সুশান্ত স্বপনরাজি।


বলো এ ক্যামন পিশাচের উপমায় তুমি; কতটা বিষাদীনি,
কতদূর স্বমহিমায় মহান তুমি, হিংস্রের রূপকার!


শুনো শঙ্খচিল,
কেবল ওই বিস্ময়েই স্থবির আমার অনাগত,
সহস্র শত রাত্তির নিমন্ত্রণ ও শীতলপাটির দীর্ঘ আসর।


রচনাকাল-
2016.Apr.01_11.30 রাত্রি।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।