কী বিস্ময় চাহনী তোমার।
কী স্নিগ্ধের উপমায় ভূষিত ও'চোখ।


ও'চোখের ভাষায় পড়েছি অনন্ত ক্ষুধা,
দেখেছি কঠিনতর স্পর্শের তীব্র আকুলতা।


কত রাত্তির ঘন আঁধারে করেছে সেসব বিলাপ,
শত বর্ত্মর প্রচ্ছন্নতায় আছে মিশে ঐ আর্তনাদ।


ভীত সন্ত্রস্ত্র কুমারিনীর সেকি চাহিদার স্বরূপ,
সেকি মর্মর বেদনার নীলচে দীপে বিস্মিত দহন।


আত্ম দু'চোখে সে বিধ্বস্ত কামনার চলচ্চিত্র,
ফেঁড়ে বয়ে যাচ্ছিলো আমার অন্তরাত্মার মোহনা।


পুষ্পপৃথিবীর তলে যেন আমি ক্রমশই হয়ে পড়েছি,
মধুশূণ্য এক ফাঁপা পাঁজরের মিথ্যে অবয়ব।


দীর্ঘশ্বাসের বিস্তীর্ণতায় হয়ে উঠেছি বিরান একা,
আর নিশ্চল নৈঃসঙ্গের নিদারুণ গ্রাসে গিয়েছি মুছে।


সেই বিলুপ্তির আত্মদ্বন্দ্বে আজও অটুঁট অক্ষয়,
ওই চাহনীর সুতীব্র অনল ভরা ক্ষুধাতুর অক্ষিদ্বয়।


রচনাকাল-
2016.Apr.16_02.00 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।