হৃদয়ের ভাষায় রাত্রির উপমা  অবরুদ্ধ তোমাতে,
আকাশ না দেখেই আজকাল পলকে বলে দেই রাত্রির সংজ্ঞা।
সুদীর্ঘ অনলের লেলিহান শিখার উত্তাপ বিচ্ছেদে,
শিখেছি তোমার শৃঙ্খলে প্রশমিত হবার চিত্রায়ন।
লেগে আছে তৃষ্ণার্ত চাঁদ আর বুভুক্ষু জ্যোৎস্নায়,
ফেলে যাওয়া কম্পিত অতীতের শক্তিমান মহাক্ষণ।
জ্বলে আছে তবুও ভুলে থাকার জ্যান্ত সুর অন্তর পাড়ায়,
যদি হয় স্মৃতির ইন্দ্রজালে বন্দী সময়; তবে ফুরোয় যেনো সে সুর।


যামিনীর একচ্ছত্র নীরবতার উপমা  অবরুদ্ধ তোমাতেই,
প্রাণান্ত ফুটে উঠা নক্ষত্র না দেখেই বলে দেই তোমার অস্তিত্ব।
নিষ্কলুষ নিকষ দহনের ভষ্মস্তুপে নিঃসঙ্গের যাপন,
জমে উঠে বিস্তৃত সন্ধ্যায় ক্লেশের তামাটে বহর।
ছেপে যায় রজনীর ঘূর্ণচক্রে অবারিত দংশন,
সেঁজে বসে থরেথরে সভ্যতার বুকে বিরহের আস্ফালন।
বিমূর্ত লন্ঠনে থইথই ছোবলের ভাঁজ,
স্বপনদীপ নিবৃত উদভ্রান্ত বাতাসের বিষাক্ত আর্দ্রে।


পৈশাচিক নৈঃশব্দের উপমায় আবদ্ধ তুমি,
প্রিয় নীল আঁচল না ছুঁয়েই বলে দেই মন খারাপের কারণ।
প্রলম্বিত বিরাতের প্রহসনের প্রতিউত্তর লিখতেই,
হাহাকারে তেড়ে আসে সদ্যজাত প্রভাতের ক্রন্দন।
নিরুত্তরের আস্তরণে হারায় লিখনীর নির্জীব পত্র-পাতা,
বেজে চলে বিবর্ণ পৃষ্ঠার অতল গহ্বরে সমরের দামামা।


প্রিয়তা,
ঠায় বেঁচে আছি তবু এইতো বিস্ময়,
ছারখার আত্মার অঙ্গরাজ্যে অমৃত অক্ষয়।
বিষাদের বাদ্যে ধ্বনিত জীবনের শ্লোগান,
অতন্দ্র বিষণ্নে বিনিদ্রে তপ্ত মম প্রাণ নিশিদান।


রচনাকাল-
2015.Dec.31_02.00 রজনী।
বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।