আজ অবধি কতকাল হলো বলোতো প্রিয়তা?
তোমাতে ফেরাতে কেস হলো, আদালত পাড়ায় হাসির রোল পড়লো।
পরোয়ানায় তুমি নিশ্চল যেনো লজ্জা রাঙা,
অথচ সেই লজ্জানত মুখ গুজার কথা আমাতে বুকে।
কী বিমর্ষ অপরাধবোধ তোমাতে চোখে; ললাটে।
আমি রক্তলালে মুষ্টি চেপে কাষ্ঠঘরে।


আচ্ছা স্পর্শ!
এমনটা ক্যানো বলোতো?
নিয়তি জানি নিয়তেই প্রতিপাদ্য হয়,
কিন্তু দ্যাখো, এ ক্যামন নিয়তি গড়লো তোমাতে আমাতে?
শুনেছি, প্রেম নাকি মর্গেও যায়,
জ্যান্ত করে তাজা লাশও; ছোঁয়ায় প্রেমসুরা নিভু হৃৎ-এ।


অশ্রুতমা, কষ্ট বুঝো?
রাত্তি কষ্ট, দিবা কষ্ট, মধ্যাহ্ন পোড়ন, বিকেলি দহন কিংবা,
সন্ধ্যা বীণার মরম সুরের নির্ঝর একাকীত্বের করুণ লগন!
বুঝো কি?
ওসব অতীত ক্ষণের মহাকালে লেগে থাকা মিনতি।
নির্বাক যত আলাপনের বিমূর্ত শত নৈঃশব্দী আহ্ববান।


তুমিতো ঘোর অতলে ভিন্ন ধরার নব পৃষ্ঠায়,
রাত্রি বিলাও নিদারুণ মোহের উত্তাপ দোলাচলে।
তুমি বীভত্সতায় পড়ে উঠো অতীত ভাঙ্গার মন্ত্রযাদু,
চূর্ণতায় ধ্বংসযজ্ঞে ঢালো বিনাশের বিষলালা।
তুমি আজ মিছিল মেখে জ্বলে উঠাও প্রেমের মশাল,
বিরাত ডুবাও অন্য বুকে আসন্ন ভোরের প্রভাতলয়ে।


অথচ তোমাতে ফেরাতে কেস হলো, আদালত পাড়ায় হাসির রোল পড়লো।
পরোয়ানায় তুমি নিশ্চল যেনো লজ্জা রাঙা,
যেই লজ্জানত মুখ গুজার কথা আমাতে বুকে।


রচনাকাল-
2017.Apr.12_03.00 রজনী।
বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।