"আকাশের সবচে দূরে যে তারাটির দিপ্তী চোখের জলকণার মত জ্বলমল করবে,
মনে করো সে তারাটি আমি।
আমার নামেই তার নামকরণ করো,
কেমন?"


হ্যাঁ, ইসলামী কবি, দ্রোহের কবি, প্রেমের কবি, সাম্যের কবি।
প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম,
এমনটিই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন জীবনের সায়াহ্নে এসে।
বাংলার এই তুখোড় প্রতিভাবান কবিকে আমরা কেবল পুস্তকে জাতীয় কবি হিসাবে বেঁধে রেখেছি যুগ অবধি যুগ।
আজও দিতে পারিনি জাতীয় কবির সঠিক মার্যাদা করতে পারিনি যথাযথ মূল্যায়ন।
আধুনিকতার চাকচিক্যতায় আমারা তাঁকে স্মরণ করি মাত্র বছরে দু'বার।
পুষ্প অর্পন, পৃথক পৃথক বাণী, সঙ্গীত আয়োজন আর ছড়া কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতার শৃঙ্খলে বন্দী করে রেখেছি।
অথবা তাঁর চেতনা আর দর্শন নিয়ে দুয়েক কলম লিখি মাত্র এই।
ইতিহাস বলে বাংলা সাহিত্যের অমর এই বিপ্লবী কবি বেঁচে থাকতেও অবহেলায় পরিণত হয়েছিলেন এবং এখনো পরাপারে চলে গিয়েও অবহেলিত।
অথচ এই জাতিকে যিনি নিয়ে গেছে সাহিত্যের অনন্য এক সুউচ্চ মাত্রায়।


আজ ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ִর একটি কথাই মনে পড়ছে বারংবার_
"যে দেশে গুনির কদর নেই,
সে দেশে গুনি জন্মাতে পারেনা"
আসলেই কি আমরা এই বাঙালী জাতি পেরেছি দিতে,
বাঙালীর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ কোন ব্যক্তিকে সঠিক সম্মান আর মুল্যায়ন?
দীর্ঘ ৪৩ বছরতো আমরা কেবলই ক্ষমতার লোলোভ  হিংস্র দৃষ্টিতে নিজেদর নারকীয় তান্ডবের এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে আটকে রেখেছি অমানবিকতায়,
যার দরুণ আমরা ভুলে গেছি আমাদের পরিচয় বৃত্তান্ত।
(আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন)


আজ এই সাহিত্যের অমর উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রয়াণ দিবসে স্মরণ করছি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায়।
সেই সাথে তাঁর রূহের  মাগফিরাত ও কামনা করছি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতয়ালা যেন তাঁকে বেহেশত নাসীব করেন।
(আমীন)