ব্রোথেলের পথে পথে যে রাত নেমে গেছে,
সে রাতের অনন্ত ব্যবচ্ছেদ পাঠে জেনেছি।
ওই পথের অন্দরে আঁধারকে মিতালি করে,
তুমিও হেঁটে গেছো নিদারুণ বিষাদ ছড়িয়ে।


মুক্ত ল্যাম্পোষ্টে বিভ্রান্তির ধোঁয়াশা তুলে,
তুমি নিঃশঙ্কোচ মিশে গেলে বেদনাভর ইথারের লহরে।
ক্রমান্বয়ে যেনো গোটা দিগন্ত চুপষে দিয়ে,
পিশাচের হাসি এঁকে তোমার আঁচলের কোণায়।


যেনো সেভাবেই চলে গেলে অন্তিম দূরে- বহদূরে,
যে দূরের পদচ্ছাপে অলঙ্কৃত না ফেরার চূড়ান্ত ইতিহাস।
আমি ছোঁই; খুঁইয়ে খুঁইয়ে অশ্রু রোপি ও'পদাঙ্কসারিতে,
নিকষ বিনিদ্রের তপ্ত তেপান্তরে ব্রোথেল যেনো বিষন্নের রণক্ষেত্র।


আমাকে বিচ্ছিন্ন পথিক করে নিষ্প্রভ ব্রোথেলের শহরে,
যে বিদায়ক্ষণ পাঠালে নগরীর মোড়ে মোড়ে; গলিতে।
সেথায় দ্যাখো অগ্নির মিছিল; তীব্র বারুদের শ্লোগান।
যে শ্লোগানের গর্জনে দলিত নির্বিবাদ,
তোমার রেখে যাওয়া না ফেরার ইতিহাসের পদাঙ্কের অলঙ্করণ।


দ্যাখো রাত্তিতমা-
আজি এ ব্রোথেলের পথে পথে নিঃশব্দি চোরাবালি,
নৈঃশব্দের অতলে হারিয়ে যাচ্ছে যেথায় তোমার নোলক।
পৃথিবীর সমস্ত রাতের নির্জনতায় বেকসুর খালাস পাচ্ছে,
অতীত সমূহ স্মৃতি-বিস্মৃতির লতাগুল্ম।
আর আমাতে যে তুমিত্ব বিরাজমান অনন্ত,
সেথায় ক্রমেই হয়ে উঠছো তুমি নিটোল অ'স্পর্শগ্রাহ্য।


রচনাকাল-
2017.May.10_01.40 রজনী।
বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।