প্রচন্ড দূরে হুইসেল বাজছে—
পাশেই সামুদ্রিক কলতান।


তুমি নৈঃশব্দের অতলে হাঁটছো।


বলোতো—
এতটা নিশ্চুপতা ধরে চুপচাপ,
নির্জনতায় পা ফেললে গহীন—
বিরান বুকের ভিতর দিয়ে চিনচিন;
অঝোরে বৃষ্টি বাড়ে ক্যানো?
ক্যানো হুইসেল আর কলতান ছুঁয়ে,
পেখম মেলতে ভুলে যাচ্ছে রাত্তি—
ক্যানো অবিরল ঝরে পড়ছে আঁধার;
উত্তরের খোলা জানালার রূপবনে!
বলতে পারো?


এযেনো জলজ ক্যামোফ্লাউজের মতই,
একাধিক হৃৎপিন্ডের মুক্ত অবয়ব তুমি—
প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে নির্দ্দায় মুখ গুটাও;
শামুক নিজেকে গুটায় যেমন।


একদা যে আকাশ ফিরে গিয়েছিলো,
প্রকান্ত ক্রোদের অচেনা হাত ধরে—
নিঃসঙ্গে নৈঃশব্দের অতলান্তে একা;
বিমুর্ত পথিক করে নির্বাক আমায়!
সে আকাশ পানে আজ তারামঞ্চ;
ঘুমজর্জরিত কণ্ঠের উদ্যম আহ্ববান।


এখনো হঠাৎ বিষম সেথায়—
ভীষোণ মেঘ করে এলে নিকষ।
রাত্তিরা সব জড়োসড়ো হয়ে—
সামুদ্রিক ঐ কলতানের সুরে,
প্রচন্ড অদূরে বেজে তুলে হুইসেল।


১৯০৯০৮০০০১