জানি-
বর্ষাস্নাত ও আঁখিপল্লবের মূর্ত কান্না,
যেনো ভূ-মধ্যসাগরের বিষাদের গভীরতা।
যদি কঠিনতার মধ্যভাগে কঠোর হতে বলি,
তো পুনশ্চ করবে দ্বিধা আর সংশয়ের বাচ্য।


পরিত্রান গ্রহনে দূর্ধর্ষ হই আত্ম অস্তিত্বে,
অথচ বিষাক্ত দংশে মুমূর্ষ হয়ে জড়াই দূরত্ব।
দৃষ্টির বিপ্রতীপ ভাষায় ক্লেশের থমথমে মেঘ,
তবুও আপনতরে বিছিয়েছি সব;
বিক্ষত আকাশবুকে।


অনন্ত একটিবার কভু যাইনি বিলুপ্তির পথে,
যেথায় ভ্রান্তির প্রবোধে বুঝেছো আমায়;
মৌসুমি পথিক।
এ ক্যামন বিষাদ অগ্নির পরিশুদ্ধ বেদনা বলো,
বলো এ ক্যামন সুনিপূণ যন্ত্রণার জলজ্যান্ত দাগ!


ওই শ্রাবণভরা দুচোখের তারা কি তবে বিষন্ন লহরী,
যে অক্ষির পাপড়ি পাতায় মিশ্রীত আমার ঘ্রাণ।
নির্বিকার হৃদয়ের উপরে দুর্বোধ্য শূণ্যস্থান,
আর কৃষ্ণকায় রজনীর বুকে তুমি এক বিষন্ন প্রশ্নের যতিচিহ্ন।


বাহারছড়া, কক্‌সবাজার।
201611264012