অথচ তুমিও পুড়ছো,
অদ্ভুত এক নিরুত্তাপ যাতানার দাবদাহে।
আমি ঠায় বোসে, জীবন ও মৃত্যুর মাঝপথে।
জেগে উঠি, আবার ঘুমাই।
আর এভাবেই শয়ন-জাগরণের প্রত্যাহিক পাঠাভ্যাস ভুলে,
হয়ে উঠি কয়লার আসহাবে কাহাফ।


সে ক্ষণ দিনও নয়, নয় রাত্রিও তখন।
তখন শুধু পৃথিবীর মরুপ্রান্তরে নামহীন বেলা।
যখন নীড়ভুলো পরিযায়ীর ঠোঁটে ঠোঁটে উচ্চারিত হচ্ছিলো,
অগণন কিছু অবোধগম্য দলিয় কোরাস।
তখন ধরণীর পথে-পথে বিক্ষোভ; দৃঢ় শ্লোগান,
যে মিছিলের মশালে ভুলে যাওয়ার করুণ বহ্নিশিখা।


যে রাত্তি নিরিবিচ্ছিন্ন দহনের উম দিতে জানে,
বিশ্বাস করো; সে রাত্তি কভু আমাদের ছিলোনা।
ছিলোনা বিচ্ছিন্ন বিষাদের চোরাগুপ্তা প্রতিঘাত।
ঘুমোট নীরদের আয়নায় যে সন্ধ্যা নামাতে,
আজি সে সন্ধ্যার অন্দরে দর্পনের বৃষ্টিহীন।


অথচ তুমিও পুড়ছো,
অদ্ভুত এক নিরুত্তাপ যাতানার দাবদাহে।
বিপুল শূণ্যতার মাঝে এত এত গাঢ় নিঃশ্বাস,
তবু বিচ্ছেদের লালিত বিরাতে দ্যাখো বিলিন হচ্ছে ওসব।


রচনাকাল-
2017.Jul.31_01.45 রাত্রি।
বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।