যে রাত্তির বাহুডোরে বেঁধেছিলে অজস্র ইষ্টিশন,
সে ইষ্টিশনের পথে পথে আজ বেহুলা রজনীর ঢল।
আমি বিপর্যস্ত সন্ত্রস্ত এত এত রজনীর হাহাকার দেখে,
নিশ্চল বুকে পুষে আছি নির্বিবাদ একাকীত্ব।
যে ঘুমোট পরা নীরদের ঝাপি ছুঁয়ে দিতো সুখ,
সে নীরদের বহরে আজ সহস্র বেদনার নিকষ বজ্রডাক।
তুমি এলেই ধরণীর রাত্রিকালে নেমে আসে ভোর; প্রভাত,
শীর্ণ ইষ্টিশনের বাঁকে বাঁকে ফোঁটে স্নিগ্ধ মুকুল।
অথচ আজি বৃষ্টিস্নাত ঝুম রজনীর পাড়ে,
শয়ে শয়ে জন্ম বিঘ্নিত বেলি কদমের অঙ্কুর।
কিন্তু তুমি এতসব রাত্তির বাহুডোরে একদা গড়েছিলে ইষ্টিশন,
যেসব ইষ্টিশনের পথে পথে আজ বেহুলা রজনীর ঢল; অমোঘ ক্রন্দন।


201704230003
বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।