প্রিয় পিরানহা,
তীব্রতর হৃৎপিন্ডের অন্দরে যে মৃত্যুবিষ পুষেছো,
সে নিকষ দংশনে আর কতটা বলো ছিন্ন করবে প্রাণ!


দগদগে বিষাদের ঝাঁজরা বর্ত্মর পরতে পরতে,
তুমিতো জ্বালাও কেবল ছারখার ধ্বংসের অনির্বাণ।


অথচ আজ দ্যাখো সে মশালের অলোয় মিশে,
উদভ্রান্ত তুমি ভুল মেনে নিয়ে নেমেছো সমর্পণের মিছিলে।


বক্ষে পাথর চেপে যে চোখদ্বয় করেছো আঁধার ফোয়ারা,
সে চোখের মণিতেই আজ বিষম অনুতপ্তের জলকমল।


যে ভ্রান্তির করতলে এসে আজ উদ্বাস্ত তোমার বিবেকচ্যুত প্রাণ,
একদা সে ভ্রান্তির মগ্ন উল্লাসেই নিজেকে বুনেছো সুকায়দায়।


প্রিয় পিরানহা,
স্তব্ধ করো এই মৃত্যু মৃত্যু খেলার রণাঙ্গণ,
পিরানহার তকমা ঝেড়ে হও নিটোল প্রেমপূর্ণ মানবী।


অবগুণ্ঠিত ওই বারুদের হিংস্রতা ভুলে; ফিরো,
সুবিমল ধরার উদ্যানে ফোঁটাও স্নিগ্ধতার পরাগ রেণু।


2017.Aug.28_03.00 রজনী।
বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।