ঘোমটা খোলা আকাশের পথে রজনীর নিরন্তর যাত্রা,
নক্ষত্রের ব্যস্ত মহাসড়কে দিগন্ত উবে যাচ্ছে প্রাণান্ত।
উদ্ভ্রান্ত বাতাসের গায়ে যে গান আঁকা হচ্ছে সযত্নে,
সেসব উন্মুক্ত ডানার বিহঙ্গদের গ্রীবায় মিশে আছে ইতিহাস।


দীঘল নৈশব্দ্যের আড়াআড়ি ভাঁজের নিশ্ছিদ্র সারিতে,
গহীন অরণ্যের নির্জনতার বৃক্ষগুলোও গেয়ে উঠে সে গান।
থৈ থৈ নুনতা জলাস্রোতের সিন্ধুর বিস্তীর্ণ লহরীতে,
ভেসে যায় সে বিহঙ্গ আর বৃক্ষাদীর অতীত সুলভ গানের কলি।


নিস্তব্ধ বিরাতের উষ্ণ বক্ষে কান পাতলেই উঠে আসে,
ক্ষৌণীর যত অস্পর্শী প্রত্যাশার সহিংস গর্জন।
পর্বতের আন্তরিক্ষ ছেদ করা অগ্রজ তৃণের প্রাংশুময় দেহে,
লেপ্টে আছে ওসব ইতিহাসের সমস্ত ক্ষত সমূহের চিত্রপট।


বিরাত থেকে হাহাকারে প্রকম্পিত শেষতম চূড়ান্ত নিঃশ্বাসের,
অক্সিজেন শুষে নিতে নিতে বিলীন হয় সমুদয় আশার প্রদীপ আভা।
নিঃসঙ্গের সমীরণে সময় সম্প্রসারিত হতে হতে,
অদ্ভুত এক আঁধার রচনা করে বৃহৎ শূণ্যতার অস্তিত্ব।


মৃত অতীত সমগ্র নিউরণে প্রচ্ছন্নে আর্তনাদ করে বিকটে,
ফেলে আসা স্মৃতি বিস্মৃতি ক্রমশই জেগে উঠে প্রকট বিলাপে।
ধরণীর আসন্ন প্রত্যূষও জানি আজন্ম বিষদগ্ধই রবে,
আর চেতনার চিত্ত দ্বারে গড়ে উঠবে অস্তিত্বহীনতার বিষণ্ণ পাঠশালা।


সেভাবেই সহসায় বিনিদ্রের সুরে সুললীত হবে রাত্রি যাপন,
নিকষ তমসার আস্তরণ চিড়ে জন্ম নেবে ভোরের বিক্ষত বিমর্ষ প্রভা।
অরণ্য, বিহঙ্গ ও নির্জন বৃক্ষাদী ফের গুটিয়ে নেবে নিজেদের,
আর বিষাদপূর্ণ অকুল পাথার স্থীর হবে পূণঃজাগরণের শক্তি সঞ্চয় করতে।


রচনাকাল -
2015.Feb.08_01.20 রজনী।
খরুলিয়া, কক্ִসবাজার।