তিলোত্তমা পান্নানী, ভালো আছো?
বিংশ শতাব্দী শেষেও, একবিংশ শতাব্দীর তরুণ সময়ে— কোলকাতা যাওয়া হয়নি। এখানে ভীষোণ যে বংশী বাদক; মেঘের মৌরালায় বৃষ্টি নামায়— শুনেছি তাকে বারংবার বার্তা পাঠিয়েছো। আমার কি আর সে হুশ আছে বলো! তোমার কোনও বার্তা আমার কর্ণগোচর হয়নি। সেদিন সন্ধ্যেয় লিখেছিলাম, এ শহর কান্নার ভান করে— বৃষ্টির ছুতো ধরে। দেখেই নাকি এসব; খুব অভিমান চেপেছিলে আমাতে। পরে ঠিক ধরেছি, এ-শহর থমথম মেঘে ভিজে— তোমার জমাটবদ্ধ বিরহের জলে। শোণো, এতটা দুঃখ পুষতে নেই; এত বিষাদে দগ্ধ হতে নেই— এসব স্মৃতিস্বর ছুড়ে বরং আকাশ পুষো বুকের গহীনে- প্রলম্বিত রাতসমস্তকে জড়ো করে; আলোর অন্দরে জর্জরিত করো একাকীত্ব। আমাকে যে প্রশান্তির মিছিলে করেছিলে অগ্রগামী— সে মিছিল এখনও তপ্ত, আমার চোখসমগ্র রাজপথে; তোমার শ্লোগানে শ্লোগানে। ভালো থেকো।


১৯০৭২৭০২৪৫