সমস্ত আলোর ভিতরে রেখে যাচ্ছে— তোমার অপলক চাহনী সমগ্র। জমানো আঁধার চিরে— ভেসে আসছে অসমাপ্ত গণস্মৃতিপাঠ। তোমার বিষন্ন দরবারে; আক্রোশী কথা বলে— যে সব রাত্তি ঋণগ্রস্থ করে উড়ে যাচ্ছে; সিন্ধুর প্রলয়ে— তার দীর্ঘ আঁধারে সেঁটে দিয়েছি: অবাক ফলাফল।
|
বেদনাকে দারূণ মহিমায় পুষে— যে ইতিহাস করেছি বশ্‌; তাকে পৌরণিক উপভাষায়; নীল মহীরূহ বলতে শুনেছি।
বুক থলেতে দুঃখদের ভীড়— মন খারাপের বিজ্ঞাপন নামে; যে উপপাদ্য রচিত হৃৎগহ্বরে— তার উপনাম আপতিক পরিযায়ী।|
|
তুমি স্যান্ডগ্রাউস দারূণ; হৃৎপিন্ড ভর্তি টসটসে প্রেম।
আর আমি ঐতিহাসিক রোমাঞ্চকর ইউনিকর্ণ; রহস্যের অমৃত খোয়াব— যেনো ঝড়্গ্রস্থ জাহাজের প্রতাপ লণ্ঠন।
|
অতঃপর পুরাণের পত্র পৃষ্টায় এসো— কোটি কোটি গোলাপের পাঁপড়ি হয়ে ফুটে উঠি; সভ্যতা আর ইতিহাসে। তোমার আক্রোশ জুড়ে; আটলান্টিকের অশান্ত ঢেউ— অভিমানী জিহ্বার নিশ্চুপতা। আর সমস্ত বুক জুড়ে— তীব্র ভালোবাসার হীম, জমে একাকার; ঠোঁট-সমগ্র মধুময় অম্লান চির।
|
যদি বিগত সময়ের প্রতিজ্ঞায়— সাড়া না দাও কড়জোড়। বিশ্রী বিরহের দাবানল পিষে; যদি ম্রিয়মান মিশে যাও একাকারে— তবে চিনে নিও, আগুন হারা পথিকের এ চোখসমগ্র— যে চোখের অন্দরে: কখনো নিদ্রাপ্লুত করেনি কেউ।


২০১৯০৯০২২০০৩