যে বিপর্যস্ত নগরীর কার্নিশে
রেখে গ্যাছো বিপুল সন্ধ্যা বাতায়ন
ঠিক তারই পাশে শয়-শয় পুষ্পকুল


উত্তাপ এ-চোখে তোমার যে চোখ ক্ষণিক ছুঁয়েছে বিষম
জানোনা; সে চোখজোড়ার অন্ধ ভাষায় ছিলো তীব্র ক্লেশ
ঘৃণার নির্বিবাদ অভিশাপের তীক্ষ্নতর দৃষ্টি


শোনো দোপাট্টাওয়ালী-
ত্রস্ত রিক্সায় স্কার্ফে যে গোলাপরঙ মেখে
এঁকেছো বিষঠোঁটে খুনির লালাভ চিত্রকলা
সে ঠোঁটের পথ ধরেই শুয়ে আছে সহস্র প্রতিশ্রুতি


যে চোখদ্বয় নির্মম বেদনার রূপকার
যে চোখ রূঢ়তায় পুষ্ট অগ্নির সমাহার
সে চোখ বলো বুঝবে কিভাবে তপ্ত নীল কমল
দেখবে কি করে মুমূর্ষতার বিক্ষত হাহাকার


স্পর্শ!
বেমালুম বুক পেতে নিত্য যে সন্ধ্যা
পুষছো মহাকাব্যিক সময়ের পেণ্ডুলামে
জানি! ও সন্ধ্যাও ঘরেফেরে আশ্রীত হবে তোমাতে
শুধু আমাতেই সে সন্ধ্যা আটকে রবে আড়ষ্টতায়
ওই মহাকাব্যিক সময়ের চুড়ান্ত নিঃশ্বাস অব্দি।


বাহারছড়া, কক্‌সবাজার।
201803182340