জীবনের প্রয়োজনে কেটে যাচ্ছে
সমস্ত আবীরহীনে বিবর্ণ রাত—
ধূসর কালিমায় ভোর নেমে এলে
তখনও বাকরুদ্ধ প্রভাতের চোখ—
অথচ এখন প্রকান্ড রাত নিশীথ
শীত বুকে ঝরছে রুক্ষপ্রকৃতির শির—
ঝমঝম আঁধারে শুনশান আলেয়া
এখনও শীশ বাজাচ্ছে বেহুলা জংশন—
কখনো খোয়াবের অন্দরে নিদ্রাজড়
আবার কখনো অক্ষিহীন বিনিদ্রতা—
এসব আলাপন দূরমুখে ফুটছে
যেনো উনুনে মেলছে খই ভাজা—
এতসব অতীত মেখে মেখে ঠোঁটে
কালশিটে বাড়ছে নিউরণ জুড়ে—
আমাকে এভাবে ডাকছেনা ঋতু
কিন্তু কিনা সব ঋতুই বুকপকেট—
আগন্তুক যদি কেউ কড়া নাড়ে কভু–
কথা দিলাম; কোনও দিনও তারে
চিনবোনা—
সে কবেকার পুরোনো পুঁতির পত্র–
হাতে তুলে বলেছিলে; এই নাও
হৃদয়ের শেষ সম্বল—
তাই আমি;
রাত গুনি- ভোর ছুঁয়ে প্রভাত ধরি,
বেহুলা জংশনে লিখে দিয়ে আসি—
’জীবনের প্রয়োজনে কেটে যাচ্ছে–
সমস্ত আবীরহীনে বিবর্ণ রাত’
২০১২২০০০০৫