তারপর রক্তের ভেতর দিয়েই জেগে উঠি।
আমার দু'হাতেই রক্তের জমাটপিন্ড,
বুক বরাবর গলগিয়ে নামছে রক্তের প্রবাহ।


আমি মৃত আত্মার লাইব্রেরী ঘেঁটে আমার বাবা আর মাকে খুঁজছিলাম,
আর অর্ধমৃত মিছিলের বহরে খুঁজলাম আমার ভাই বোনদের।


আমি অস্পৃশ্য কিছু ছায়া হতে কুড়ালাম,
অজস্র আতাতায়ীর নির্মম প্রলাপ।
আমি শত আগ্রহের পরেও ধ্রুব সত্যের পিছনে সওয়ারী হতে চাইলাম,
কিন্তু লুন্ঠনের প্রেতাত্মারা আমায়,
তলোয়ার খুঁচিয়ে ছিন্নতা আনলো সমুদ্রসম অক্ষিদ্বয়ে।
আমার ধমনীর সত্যের মশাল নিষ্প্রভ করে,
কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলো,
ভুলে যাও, এই বিক্ষত হৃৎপিন্ড নিয়ে মুছে যাও ইতিহাস হতে।
যত স্মৃতির অন্দর মহলে জিইয়ে রেখেছো আমাদের গর্হিত কাজ,
সেসব অনায়াসে পিষ্ট করে দলিত করো অনিয়ন্ত্রিত হাহাকার তোমার।
যে রক্তের ভিতরে গড়েছিলে তীব্রতর আকাঙ্খার বীজ,
রোপেছিলে প্রত্যাশার নিদারুণ যত মহীরূহ।
সে লালিত্য বাগানের শিকড় উপড়ে হও আত্মঘাতী,
আর নিকষ অগ্নি পুষে ভষ্ম করো সে কামনার উদ্যান।


ভ্রান্ত টানেলের যে পথে হেঁটে গেছে ভ্রষ্ট অতীত,
আমি সে পথেই ধরতে চেয়েছি গুপ্ত রাখা স্বপোনের আলোক।
অথচ আমার অন্দরেই জপেছিলো একজনা সে স্বপন,
সেজনা নিত্যই জল হাতে ঘুচাতো কামনার সে উদ্যান।


কী নিকষ এমন এক অধ্যায়ে নিমজ্জিত করলে বলো?
বলো এ ক্যামন তীব্র বিষাদের নির্যাসে ঝরালে রক্তস্রোত।
যেনো অনাদিকাল জমানো শত্রুতা দেখালে,
শুধু তুমিইবা ক্যানো!
পুরো পরিজন সম্প্রদায় যেনো গড়েছিলে পরমে আড়ালে,
আমার স্বপোনের চোখে রক্তের রণক্ষেত্র বানাতে।


রচনাকাল-
2017.Apr.17_01.50 রাত্রি।
বাহারছড়া, কক্ִসবজার।