কলঙ্কের ভিতরেই ডুবে যাচ্ছে রাত্তির পানশালা।
প্রচন্ড আবেগের মোহে তোমার স্ফুটিত তিলগুলো
ক্রমশই নিভে যাচ্ছে স্পর্শের তুমুল অবহেলায়।
|
যাক, এবার রাখালী বাঁশরীর কথা বলি।
সেদিন বোশেখের প্রবল যৌবণের একদিন
তোমার তৃষ্ণার্ত অধরে ছোঁয়াহীন মলিন সুর।
|
একদা খাঁ-খাঁ রাত্তির মধ্যভাগে তোমার নাম
আঁধার সরিয়ে জ্যোৎস্নার দুয়ার খুলে দিলে,
বিনয়ে এলিয়ে দিয়ে আঁচল বলে উঠলে
আবার চলে এলাম পথভোলা পুরুষ।
|
আজও তীব্রতর প্রেমে বাজে আপন শিঞ্জিনী
অঢেল আন্ধকার চিরে যেই চিত্রকলা আলো দেয়,
সে আলোয় প্রখরিত তোমার পদচ্ছন্দের আলেয়া
আমিতো মন বাড়ালেই চিনি তোমায় খু-উ-ব।
|
এখানে এখনো গভীর এক প্রতীক্ষার জলসা
প্রবঞ্চক যত বিস্মৃতি শিস দেয় বিরাতের কাঁটায়,
তোমাকে হৃদয়পূর্ণ করতে করতে ভেসে আসে ভোর
অথচ আমি কিনা গুনছি সুদূরে তোমার পায়ের আওয়াজ।


201905020330