সমস্ত শহরে আলোকচ্ছেদ— ইথারে ইথারে বইছে, সুবিমল স্নিগ্ধতা; উচ্ছ্বাস। অন্তঃস্থলে কান পাত্‌তেই— গেরদান দিচ্ছে: তোমার আগমনী জয়ধ্বনি। তোমার পদাঙ্কে নুয়ে পড়ছে; আমার বারতা— তুমি এলেই ছুঁয়ে যায়, পুরোনো শপথ- বিস্মৃত রাত্তির আয়োজন।
|
শুনেছি— এ শহর মাড়িয়েছো ফের।
অলিতে: গলিতে তাই ইতিহাস পাঠ— সম্মুখে সন্ধ্যা সাঁজছে; তোমার আঁচলে। রাত্তির ল্যাম্পপোষ্টে গণ বিচরণ— সভ্যতার আদি কলম। তুমি আস্‌লেই, গড়ে উঠে মহাকাল— জলজ্যান্ত রাত্তিরা-সব; হয়ে যায় নিদ্রালুপ্ত শংসপ্তক।
|
নিশিডাক হয়ে উড়ে যাচ্ছে— সহস্র নিঃশ্বাস তোমাতে। সুষুপ্ত বাতাসের ভাঁজে— অজস্র কথোপকথনের দীর্ঘলিপি। আচ্ছা- এখনও কি ডাহুক ডাকে: তোমার বাতায়নে! বিমূর্ত স্মৃতিস্বরের আঘাতে— কেঁপে ওঠে কি; তোমার নিউরণপুঞ্জী! জানতে ইচ্ছে হয়; জানো!
|
অথচ; আজও তুমি আসলেই এ-শহরে—
টগবগে ফুটে উঠে সন্ধ্যারাজী; হিল্লোল রাত্তির, সমুদ্রময় আকাশ। তুমি আস্‌লেই— প্রচন্ড মূর্ছনায় বেজে উঠে কলতান; সময়ের দুষ্প্রাপ্য জলরং; দুর্লভ স্মৃতির অক্ষুণ্ণ চিত্রপট।
|
তুমি এ-শহরের সন্ধ্যারও মেঘমালা— ব্যস্ত ঠাসা জনপদে; এক টুকরো মুখ,বড্ড আপন; চেনা মুখ। ঘন বেদনার আঁধার চিড়ে; বারংবার তুমি এসো— না থাকো ঢের: অন্তত ছুঁয়ে দিয়ে যেও এ শহর— একটিবার; অনন্ত।।।



১৯০৯১৬০০০০২