তোমার অট্টহাসিতেই নিভৃত হয়,
আমার অমোঘ জলের তেষ্টা।
অক্ষির বাঁকলে কাজল ছোঁয়াতেই,
ঢুকে পড়ি তোমার দৃষ্টি রশ্মীতে।
বিষাদ সিন্ধুর ঢেউয়ের খোঁপায়;
লালিত আলাপন তুলে রেখে প্রশ্ন রাখি, তুমি কার?
যেই প্রশ্নের ভেতর দিয়েই বয়ে গ্যাছে কামনার সভ্যতা,
আর অবারিত ডানার সহস্র প্রজাপতির রঙমশাল।
তোমার অবিরাম নিরূত্তরেই কেঁপে উঠে অন্তরীক্ষ,
অগণন যাতনার প্রলয় মেখে জ্বলে রয় নক্ষত্ররাজি।
অতঃপর তোমার দীর্ঘজীবি নিশ্চুপতা গেয়ে উঠে রিদম,
চন্দ্রমল্লিকার সুপেয় প্রভায় গন্ধ ঢালে পিশাচীর সুর।
তবুও তোমার মৌণ হিংস্রতা জেনে,
আমি প্রাণান্ত ছুটে যাই আকাশ ভ্রমণ।
অথচ আমার পিছু পিছু ধেয়ে আসে,
প্রাচীণ এক সভ্যতার বিধ্বংসী কামনার উল্কাপিন্ড।
যেনো ক্রমশই আমি হয়ে পড়ি হালকা থেকে অস্তিত্বহীন,
গলে গলে নিশ্চিহ্ন তবু বিস্ময় বেঁচে থাকি অবেলায়।
.
.
2016.May.29_02.10 রজনী।