নগ্নতায় মগ্ন এক সভ্যতার অন্দরে,
আটকে আছে আমাদের চোখ কান গ্রীবাংশ।
আধুনিকতার নিকৃষ্ট পালাবদলের নুনা হাওয়ায়,
বিকলাবস্থা প্রায় রাষ্ট্রিয় মৌলিক অধিকার।
বিদীর্ণ মানবিকতার পাষাণ্ড মস্তিষ্কের আগ্রাসে,
গড়ে উঠে সভ্যতার শ্রেষ্ঠ জুলুমের থমথমে কারাগার।
পাপিষ্ঠ হায়েনার বিকৃত দন্ত চোয়াল,
চেপে বসে নিরীহ লোকালয়ের নিস্কলুষ পদচ্ছাপে।
সুশোভিত পাঠশালার আসমানী বিদ্যাপীঠে,
ভ্রান্তের বারুদ মেখে ভ্রষ্ঠতা রুপে দেয় মাতাল কণ্ঠ।


অথচ আমরাই আধুনিকতার রঙ মেখে পশ্চাদে,
জাতীয়তাবাদে হয়ে উঠি মহাকাব্যের নৃত্যশিল্পি।
দলিত সুখের তান্ডবে খেতাব জুড়াই শিক্ষিতের,
মুর্খের প্রতিবিম্ব বুকে প্যাচিয়ে ভাষণ ছুড়ি আদর্শের।
স্বজাতির নির্মম পরিহাসে অসম্প্রদায়ের তকমা লিপে,
গড়ে তুলি উত্তাল দাঙ্গার বীভিষিকাময় তেপান্তর।


আর আমি কিনা এসব বলতে বলতেই হয়ে উঠি একদা,
কলঙ্কের ভূষিত এক মহাবিদ্রোহীর পাত্র।
বর্জিত সম্ভাষণের উত্তাপ বাক্যের,
হই ঘৃণীত দৃষ্টির উৎকৃষ্ট অবয়ব।


2017Nov12.07:30 সন্ধ্যা।
বাহারছড়া, কক্ִসবাজার।