পরাজিত  এক প্রেমিক আমি নিদৃষ্ট একজনের  মায়ায় আটকে গেছি।
তার তীব্র ভালোবাসা প্রতিনিয়ত আমার পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে আছে।
দূরে পালাতে চাইলেও তার ভালোবাসার বলয় থেকে মুক্তি নেই আমার


আমি ছিলাম তার  অপেক্ষায় চায়ের কাপের মতো।
" দুঃখ হয় কেনো চায়ের কাপ হলাম না
অন্তত তার  উষ্ণ ওষ্ট জোড়াতো পেতাম "।কিছুই হয়না পাওয়া।


কি এক অদ্ভুত  বিষন্নতায় সারাদিন জড়িয়ে থাকি তাকে  না ছুঁতে পারার যন্ত্রনায়।


আপন ঘর ছাড়া নাকি শান্তি মেলে না কোথাও
অথচ আমি বিশ্বাস করতে চাই  একদিন এই অপেক্ষার বাঁধ ভাঙবে আমাদের দেখা হবে পূর্নিমার আলোয়
বৃক্ষরাজি হবে আমাদের ঘরের দেয়াল
রূপালী চাঁদ হবে ছাদ
শিশির ভেজা ঘাস সাঁজাবে আমাদের শয়ন কক্ষ
জোনাকিরা দূর করবে অন্ধকার
মাতিয়ে রাখবে সুরের মূর্ছনায়।
মাঝে মাঝে দুষ্ট দুটো সাদা খরগোশ এসে উকি দিয়ে যাবে আমাদের পাশে থেকে ডুবে যাবে তাদের মাঝে
আমরাও কিছুটা লজ্জা পাবো ওদের চোখে চোখ পড়তেই


বৃষ্টির ফোঁটার মত পূর্নিমার আলো উষ্ণতা ছড়াবে। আমাদের দেহ মনে
চাঁদ লজ্জা পাবে আমাদের ভালোবাসা দূর থেকে দেখে
মেঘ রাশি ছুটে এসে ঢেকে দিবে চাঁদের চোখ।
কিছুটা সময় অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে আমাদের চারিপাশ।


আমাদের ভালোবাসা দূর থেকে লুকিয়ে দেখে
জোনাকিরা বাজাবে তার মধুর ঝংকার।
আর কিছুটা আলো ছড়াবে শুধু যেনো দেখা যায়
তার জ্বলজ্বল আঁখি জোড়া
আমি মুগ্ধ নয়নে দেখে যাবো তাকে।
আমাকে  সমর্পণ করা তার কাজল কালো আঁখি জোড়া
মোনালিসার চোখের মত ভয় আর প্রেম ভরা চাহনি হবে।
আমাকে তার পুরুষ হবার আহবান জানাবে।
আমি নিমেশেই পূর্নিমার আলো কনা হয়ে লুটিয়ে পড়বো তার অস্তিত্বে।
জোনাকির সুর আর তার হৃদপিণ্ডের ধুকপুক শব্দে মুখরিত হবে চারিপাশ
কিছুটা নির্জনতা ভাঙ্গবে চারিপাশের
শো শো বাতাস এসে আমাদের কিছুটা সঙ্গ দিয়ে যাবে
কিছুটা শান্ত করবে
যেনো কান পেতে আছে যারা কিছুই জানতে না পারে।
কিন্তু  হয়না কিছুই।


সমুদ্রের ঘুর্ননের মতো পাক খাচ্ছি কেবল একই স্থানে।
যেনো গোটা পৃথিবীর সব জায়গায় কেবল তার বসত ভূমি।  এক অদ্ভুত  নেশায় আটকে আছি তারি মাঝে


এখন আমার ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই, মানুষ  আমাকে স্বার্থপর ভাবলে ভাবুক।
বিরক্ত হলে হোক।