স্বাধীনতা দেখিনি, গল্প শুনেছি-
শ্রদ্ধেয় গুরুজনদের মুখে।
শুনেছি ’৭১-এর রক্ত ঝড়ানো দিন গুলোর কথা,
যেদিন হয়েছেন লাখো মানুষ শহীদ,
যারা আজো আমাদের হৃদয়ে স্থান নিয়ে আছেন-
শত শ্রদ্ধা আর সম্মান নিয়ে।
শুনেছি কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের গল্প-
যারা নিজের স্বার্থ সিদ্ধির আশায় হাতে হাত রেখেছিলো-
দেশকে খেতে চাওয়া হানাদার বাহিনীর সাথে।
শুনেছি এমন এক নেতার গল্প-
যিনি নিজের কথা না ভেবে, ভেবেছেন দেশের কথা,
লড়েছেন দেশ ও দশের জন্য, স্বার্থহীন ভাবে।
সহ্য করতে হয়েছিল তাকে, দেশের জন্য-
কত অপমান-লাঞ্ছনা আর গঞ্জনা।
জীবন পাতায় টানতে হয়েছিল “সাজা” নামক কালো দাগ,
থাকতে হয়েছিল মুক্ত বাতাস আর খোলা আকাশ ছেড়ে,
চার দেয়ালে ঘেরা অন্ধকার কারা ঘরে।
বহু বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে একদিন-
তিনি ছিনিয়ে এনেছিলেন দেশের মানুষের জন্য,
“স্বাধীনতা” নামক একটি লাল গোলাপ।
বাংলার সেই পরাধীন মানুষগুলোর মধ্য থেকে,
স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ স্বার্থসিদ্ধির আশায়-
বাংলার মানুষ আর পরাধীন দেশের জন্য,
লড়াই করা-সেই অকুতোভয় মানুষটিকে,
উপহার স্বরূপ দিয়েছে “মৃত্যু” নামক একটি বাক্য-
যা আজো কাঁদায় বাংলার শত বাঙ্গালির হৃদয়।