তখন শৈশব ছিল তার-
কি দুরন্ত চঞ্চল দুষ্টু সে
সারাদিন অবাধ্যতায় দিন যাই তার।
না আছে মাতৃকুলের আনুগত্য আর না আছে ধর্মের।
মায়ের অভাব সে কখনো অনুভব করেনি
যতদিন মা জীবিত ছিল।
ভীষণ জেদি সে,
কোন কিছু লাগবে মানে লাগবেই যাবো মানে যাবোই অতি নিরুপায় জননী তার।
ভর দুপুরে কাঠ ফাটা রোদ,
ছুটে চলা দূর দূর অনেক দূর যাওয়া
সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা।
সারাদিন শেষে এক কাদা অভিযোগের ঝুড়ি নিয়ে আসা।
এই যে তোমার ছেলে এটা করেছে, সেটা করেছে।
মা না বোঝার ছলে শান্ত কণ্ঠে বলে
কি করব বল দেখিন, বাপ মরা ছেলে,
বাপ থাকলে ঠিক সোজা হয়ে যেত।


মাতৃ দুগ্ধ পানের পরিসমাপ্তি না হতেই
ঘটে যায় বাবার জীবনের পরিসমাপ্তি।
দুঃখিনী মায়ের কোলে পিঠে বেড়ে ওঠা একমাত্র সন্তান।
কে জানি তো কিছুদিন পরে ঘটিবে অবসান আর একটা প্রাণ।
এখন যৌবনে পদার্পণ তার-
এখন সে শান্তো-শিষ্ট  নিরবে একা বসে বসে ভাবে এ জনমে হায় জননী, আর কি দেখা হবে!
বুঝিনি তোমায় দেখিনি মায়া ভরে
অভিশাপ দিচ্ছ নাকি এই অধমেরে।
মা খুব জানতে ইচ্ছে করে,
কেমন আছো গো তুমি গোর অন্ধকারে।
অসম্ভব সুন্দর পবিত্র মন ছিল তোমার ফিরদাউসের নুরে আলোকিত গোর তোমার।
তুমি মা পবিত্র চির সুখে নিরবে ঘুমাও
স্রষ্টার তরে এই মিনতি আমার।