নিজেও মরবি লোককেও মারবি?
নর্দমার পোকা সব!
নিকুচি করেছে তোদের ভাঙা প্রেমের।
চিরকাল ক্ষতটাকে বয়ে বেড়ানোর জন‍্যই কি
তোদের জন্ম? সেই জন‍্যই মা-বাপ মানুষ করেছে?
দুঃখের বাহন না হয়ে দুর্গার বাহন হ।
অনেক আবেগ তোদের না?
এই আবেগটা দিয়ে দেশের
কেবলমাত্র একজনের উপকার করতো,
দেখ তারপর, জীবনটা কতো ভালো লাগে!
অনেক ভালোবাসতিস তাই না?
বাবাকে এভাবে কোনোদিন ভালোবেসেছিস?
বেসেছিস ছোটোবেলায়, আবার বাস না।
জীবনে যে নতুন আসছে তার জন্য কি
ভালো হতে পারবি না?
তাকে কি ভাঙাচোরা মানুষটা উপহার দিবি?
সে বেচারা কি দোষ করল?
এই তোদের ভালোবাসা?
একেই তোরা ভালোবাসা বলিস?
ছিঃ, ধিক তোদেরকে,
বমির দিকে তোরা ফিরে ফিরে তাকাস!
ধিক তোদের পুরনো ভাঙা প্রেমকে।


জীবনটা শুধু পাঁচ বা দশখানা স্মৃতির জন্য নয়।
স্মৃতিপ্রেমিক না হয়ে নিজেকে ভালোবাসো।
তোর জন্য স্মৃতি
স্মৃতির জন্য তুই নস।
প্রেম ভাঙলো কবি হয়ে গেলি
ভালো কথা, লিখতে থাক,
দুঃখের কবিতাই লিখ,
কিন্তু নৈরাশ‍্যবাদী হসনে,
নৈরাশ‍্যবাদীরা ক্ষত ছাড়া
আর দ্বিতীয় কিছু দিতে পারে না।
তারা বড় লেখক হতে পারে
কিন্তু তাদের লেখা দিয়ে নিকুচি হয়!
সবার জীবনেই দুঃখ থাকে,
নতুনভাবে দুঃখ বিতরণ করে কিছু লাভ নেই;
পারলে আশা আর আত্মবিশ্বাস ছড়াও।
মানুষকে দূর্বল করে
তার ক্ষতটাকে আবার জাগিয়ে তুললে
বিখ্যাত হয়তো হওয়া যায়,
কিন্তু যে পাঠক তার জীবনটা
মোটেও সুখের হয় না।


লিখতে তোকে আমি বারণ করতে পারিনা
শুধু বলতে পারি,
পাঠকের আত্মার অভিশাপে
জর্জরিত হোক তোর কবিসত্ত্বা
আর তারপর তোর ভেতর জেগে উঠুক
অনেক আগের সেই আনন্দময় আত্মা।


মানছি দুঃখ আছে,
কিন্তু ওই দুঃখটা দূর করার জন্য
সংগ্রাম না করা যে পাপ, বন্ধু।
অনেক কেঁদেছিস, এবার চুপ্।
নতুন করে শুরু কর্, আশীর্বাদ করি--
তোদের ভবিষ্যত সুন্দর ও সুখময় হোক।


গীতায় ভগবান বললেন---
"তুমিই তোমার বন্ধু তুমিই তোমার শত্রু।"
আর স্বামীজি বললেন---
" তুমি যে শক্তি ও সহায়তা চাও
তা তোমার মধ্যেই রয়েছে।"
তাই আর নপুংসকের মতো বেঁচোনা,
শক্তিমান হও।
হাসো, আরো হাসো, আরও...
ছাই নয় তুমি সমৃদ্ধির অধিকারী!
সোনার শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসো,
সোনার হলেই বা, শিকল শিকলই,
উদ্ধার করো নিজেকে,
এখন থেকে জীবনটা উপভোগ করো।