বেদনার চাবুক যখন ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত করে এই জীবন,
নিরাশার অন্ধকার যখন গ্রাস করে ফেলে জীবনের আলো,
সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ে আশা ভালোবাসার তটভূমিতে,
তখন দেবদাস! তুমি যে মন্ত্রণা –
ক্ষণিকের আশার বাণী এই বিচ্ছিন্ন হৃদয়ে,
ছারখার করা জীবনের কবরভূমিতে একটুকরো মাটির প্রলেপ,
ঝর্ণার মতো মুক্ত তাপসী অপর্ণা,
শেষ ফাগুনের রৌদ্রফাটা ছাতা।
আর দেবদাস! তোমার জীবন কাহিনী –
পলাশফুলের মতো রক্তিম,
ঠাঁই পায় না দেবতার চরণে,
তবুও তো তুমি ফুল – সৌন্দর্যের প্রতীক,
ভালোবাসার জপমালা – বসন্তের আবীর,
জমজমাট নিশিবাসরে আছড়ে পড়া সাগরের উত্তাল হাওয়া।
কিন্তু দেবদাস! না পাওয়ার চেয়ে পেয়ে হারানোর জ্বালা –
সে যে কি জ্বালা অনুভব তো করা যায়!
তবুও তোমায় বুঝল না কেউ,
শুধু জানল তোমার করুণ ইতিহাস,
বেঁচে থাকার জ্বলন্ত হাহাকার,
মিথ্যা আশার মুখ থুবড়ে পড়া।
– আর কিছু না –
কিন্তু এ সবেরও মাঝে – আরও তো আছে কিছু,
সে অনুভবের – সে যাতনা কে বুঝবে – যে যাতনা পায়নি?
সবকিছুর মাঝে তুমি যে দেবদাস!
গোধূলি লগ্নের সূর্যের কিরণ – ভয়াল শীতের রাতের একটুকরো উষ্ণতা,
বিদায়ী বসন্তের অন্তিম কুহু ডাক – দুঃখ-সুখের মেলবন্ধনের হলদে রাখী,
খসে পড়া ডায়েট বক্ষের পাতলা আঁচল –
তোমার ‘পারো’।
ব্যস, এইটুকুই।।